মাহমুদ ফারুক, ১৯ মে: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ শক্তিশালী হয়ে ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে মেঘনা নদী উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তীব্র গরম আর গুমট আবহাওয়ার কারণে জেলার সর্বত্র প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘুর্ণিঝড়ের কারনে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দফায় দফায় প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ‘জেলে ও নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো, শুকনো খাবার, মেডিকেল টিমসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেউ নদীতে থাকলে, তাদের দ্রুত তীরে সরিয়ে আনার জন্য কোস্টগার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২শ আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ করা হয়েছে। দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল গফ্ফার জানান, ঘূর্ণিঝড়কালীন ও পরবর্তী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি সকল হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মরত সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিকেল টিম। সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোথাও না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মরতদের আশ্রয় কেন্দ্র-কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে বলা হয়েছে।