নিজস্ব প্রতিবেদক:
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা এতগুলো মানুষকে নতুন জীবন দিতে পেরেছি। এখানে পাওয়ার কিছু নেই, দেয়া ছাড়া। এখানে মানবতা আছে, শোষণের কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের ক্যাম্পাসে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল। নানাবিধ কথা আসতেছে। টাকা বেশি নিচ্ছে, এখানে বিভিন্নমুখি চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এই কথাগুলো কিন্তু আজকে জীবন যুদ্ধে নয়। আমরা এতগুলো মানুষকে নতুন জীবন দিতে পেরেছি আল্লাহর অশেষ রহমতে। এখানে পাওয়ার কিছু নেই, দেয়া ছাড়া। এখানে মানবতা আছে, শোষণের কিছু নেই। যে মানুষটি বলে টাকা নিয়ে গেছে সে না জেনে এগুলো বলে, এটা ঠিক নয়।’
কভিড চিকিৎসায় রোগীদের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেয়ার যে অভিযোগ সম্প্রতি আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে তা ঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পরিস্কার করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।’
কভিড-১৯ মহামারির প্রায় শুরু থেকেই রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল আনোয়ার খান মডার্ণ। কভিড রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গত দুই মাসে পাঁচ শতাধিক করোনাক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার কথা জানান হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, সবাই মাত্র ১০ দিন কাজ করে। প্রতি শিফটে তাদের কাজ চলে। কেউ হোটেলে থাকছে, কাউকে বাসা ভাড়া করে রাখা হচ্ছে। যে নার্সকে আমরা ২৫ হাজার টাকা দিতাম কভিডে কাজ করার জন্য ৫০ হাজার দিচ্ছি। যে চিকিৎসক ৩০ হাজার পেত তাকে ৬০ হাজার টাকা দিচ্ছি। যে ওয়ার্ড বয় পেত ১৫ হাজার, সে এখন ৩০ হাজার পাচ্ছে। এদের ছাড়াতো হাসপাতাল হয় না। আজকে নানান জন নানা কথা বলে।’
‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে কোন স্টাফ যেন করোনায় আক্রান্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার’ কথাও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আছেন, আমরা মনে করি এ দেশে যে চিকিৎসা হচ্ছে আপনারা সে জিনিসটা জনগণের মাঝে তুলে ধরবেন, সরকারের সফলতা তুলে ধরবেন। বেসরকারি হাসপাতাল আজ সফল হচ্ছে এটা আপনারা তুলে ধরেন।’
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান বলেন, ‘ভেন্টিলেটর আমাদের তেমন ব্যবহার করতে হয় না। যার জন্য আমরা হাইফ্রোনেজল ক্যানোলা অন্যান্য অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে ভালোভাবে চিকিৎসা করি। যাতে করে আমাদের রেটও অনেক কম। পাশাপাশি আমরা কিছু গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছি।’
হাসপাতালের কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেয় আনোয়ার খান মডার্ণ কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।