বুধবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর রশীদের বক্তব্যের জবাবে একথা জানান তিনি।
হারুন-অর রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, পাপুল কুয়েতে সে দেশের নাগরিক হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অন্য দেশের নাগরিক কখনো এদেশের সংসদ সদস্য হতে পারেন না।
এ সময় নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুয়েতের সে নাগরিক কি-না, সে বিষয়ে কুয়েতের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আর যদি এটা হয়, তার পদটি খালি করে দিতে হবে। সবকিছু আইন অনুযায়ী চলবে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি (পাপুল) কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। সে আমাদের নমিনেশন চেয়েছিল আমি কিন্তু তাকে নমিনেশন দেইনি। কিন্তু সে স্বতন্ত্র ইলেকশন করে এসেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই আসনটি আমরা জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির যে নমিনেশন পেয়েছিল, সে ইলেকশন করেনি। এর ফলে ওই লোকটি জিতে আসে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর তার ওয়াইফ (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম), সেও যেভাবেই হোক আসে। কাজেই এখানে আমাদের করার কিছু নেই।’
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের কুয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
পাপুলের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার বা বাংলাদেশি টাকায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এরপর ২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে বাংলাদেশি এই এমপিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র: দেশ রূপান্তর