মাহমুদ ফারুক, ১২ আগষ্ট: লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের কিশোরী কন্যা ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪) কে ধর্ষন ও হত্যা করার ঘটনার ৪দিন পর আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার দুপুরে কিশোরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমীর উপস্থিতিতে ও রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে লক্ষ্মীপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ থানার এস. আই মহসিন চৌধুরী, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
রামগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা ও প্রিয়ার বাবা লোকমান হোসেন জানান, উপজেলার বাউরখাড়া গ্রামের আয়ুব মাস্টার বাড়ির হারুন অর রশিদের ছেলে বাহারুলল আলম ৮ আগস্ট শনিবার সকালে স্ব-স্ত্রী বাউরখাড়া গ্রামের ননুদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন।
দুপুরের আগে একই বাড়ীর পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের নাতিন জামাই সর্ম্পকৃত বাহারুল আলম ও তার স্ত্রী মিলে কিশোরী ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়।
পরে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে কৌশলে পাশ্ববর্তি বাড়ির আবুল কালামের বসতঘরে নিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের টেবলেট খাইয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচারনা চালিয়ে লাশ প্রিয়ার বাবার বাড়ীতে নিয়ে আসে। এসময় সবার অজ্ঞাতে বাহারুল আলম গা-ঢাকা দেয়। সন্ধায় বাড়ীর লোকজন পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়ার লাশ দাফন করেন।
ঐ দিন রাতেই লাশ গোসল কাজে নিয়োজিত নারীরা কিশোরীর প্রিয়ার শরীর আঘাতের চিহ্নসহ ধর্ষনের আলামত দেখে প্রিয়ার স্বজনদের জানায়।
প্রিয়ার বাবা বিষয়টি রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে জানিয়ে পাহারা বসিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষনে অভিযুক্ত বাহারুল আলম বাহারকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরদিন ৯ আগষ্ট প্রিয়ার বাবা লোকমান হোসেন বাদী হয়ে বাহারুল আলম বাহার ও তার স্ত্রীকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতে ঘাতক বাহারুল আলম ধর্ষন ও হত্যার কথা স্বীকার করলে বুধবার দুপুরে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমির উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, উত্তোলনকৃত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।