তাবারক হোসেন আজাদ, ৩অক্টোবর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষনের অভিযোগে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আশ্রাফুল ইসলাম তামিম (১৬) কে গ্রেফতার করেছে রায়পুর থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ওই কিশোরকে তার গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা উভয়েই স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃত কিশোর আশ্রাফুল ইসলাম তামিম দক্ষিন চরবংশি ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের মাঝি বাড়ীর পল্লী চিকিৎসক মোঃ সেলিমের ছেলে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ধষর্নের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষনের অভিযোগে রায়পুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের কিশোরীর বাড়ীতে।
আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) মেডিকেল রিপোর্টের জন্য কিশোরীকে সদর হাসপাতালে এবং কিশোরসহ উভয়কে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় রায়পুর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কিশোর তামিম। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে কিশোরীর সাথে কয়েকবার দৈহিক মেলামেশা করে তামিম। গত কয়েকদিন ধরে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তামিম অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে তামিমের পরিবারের কাছে অভিযোগ দিলে তারা উল্টো হয়রানি করে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীর নিকটাত্মীয়রা। পরে ইউপি মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে বিচার না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে কিশোরী বাদি হয়ে প্রেমিক তামিমকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তামিম পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কিশোর তামিমের বাবা মোঃ সেলিম ও মামা জয়নাল আবেদীন জানান, কোন ধর্ষনের ঘটনাই ঘটেনি। মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজিয়ে কিশোর তামিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল জলিল বলেন, শুক্রবার রাতে কিশোর তামিমের সামনে কিশোরি জবানবন্ধি দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ধর্ষন মামলা রেকর্ড হয়েছে। শনিবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কিশোর তামিমকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।