নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে আহত করা মা-মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৭টার দিকে তাদেরকে হাসপাতালটির নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজোলার বালাইশপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী নবিউল্লাহর স্ত্রী আহত মরিয়ম বেগম (৩৫) ও মেয়ে নাদিয়া সুলতানা (৮)। প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রবাস যাপন করছেন নবিউল্লাহ। তবে বছর দুয়েক পরপর তিনি দেশে আসেন। বড় মেয়ে নাদিয়া আর ছোট মেয়ে ফাতেমাকে (৩) নিয়ে থাকতেন মরিয়ম।
স্থানীয় রাধাপুর সুফিয়া খাতুন নুরানী মাদ্রাসা ৩য় শ্রেণিতে পড়ে নাদিয়া। মা মরিয়ম আক্তার গৃহিণী।
আহত মরিয়মের ভাবি মারজাহান বেগম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় দুই মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিল মরিয়ম। রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় প্রতিবেশী জায়েদ বাসায় ঢুকে মরিয়মের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন সে আঘাত থেকে বাঁচার জন্য নিজেই দুই হাত মাথায় দিয়ে বাম হাতের আঙুল পড়ে যায় আর ডান হাতটিও ক্ষতবিক্ষত হয়। এরপর মায়ের চিৎকার শুনে মেয়ে নাদিয়া এগিয়ে আসলে নাদিয়ার মাথায়ও আঘাত করে সে।
স্বজনরা জানান, রাতেই তাদের দুজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ঢাকায় প্রথমে তাদেরকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখান থেকে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে, এরপর সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি করায়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদশর্ক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মা-মেয়ে দুজনই নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তরা।
তবে কি কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা জানাতে না পারলেও জাহিদ হোসেন নামের ১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।