আনিস কবির, ১০ অক্টোবর: লক্ষ্মীপুরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় চার মাসের মাথায় কবর থেকে মুদি দোকানি মো. রিপনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আল হাসান গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৬ জুন মুদি দোকানি মোঃ রিপনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে রিপনকে হত্যার অভিযোগে ২ মাস ১৭ দিন পর গত ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন মৃত রিপনের বোন নাজমা আক্তার। মামলার প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে আদালত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
এজাহার সূত্র জানা যায়, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ঘটনার দিন রিপনকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লা, সাবিনা, কদবানু ও হারুন মাঝির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, জমি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এনিয়ে মামলা করতে চাইলে অভিযুক্তরা আমাদেরকে হুমকি ধমকি দেয়। এ কারণে প্রথমে মামলা করতে পারিনি। এমনকি আমার ভাইয়ের লাশটিও তড়িগড়ি করেও দাফন করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিন বলেন, স্বজনদের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া রিপনের মরদেহ দাফনের জন্য থানায় আবেদন করেছি। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিলো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোতাহের হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।