নিজস্ব প্রতিবেদক, ২০ অক্টোবর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত-সমালোচিত চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিককে একই পরিষদের ১০জন সদস্যের সকলে অনাস্থা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোলাকোট ইউপির সদস্যদের নিয়ে শুনানীকালে চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিককে একযোগে দশজন মেম্বার উপস্থিত হয়ে এ অনাস্থা প্রদান করেন।
এর আগে গত ১৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে সদস্যরা স্ব শরীরের উপস্থিত হয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমার নিকট ১০জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা আবেদনটি জমা দেন। পরে নির্বাহী অফিসার বিষয়টি শুনানীর জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের রশিদকে প্রধান করে কমিটি গঠন করেন।
আবেদনেকারী সদস্যরা অনাস্থা দেওয়ার পর সাংবাদিকদেরকে জানান, চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে দূর্নীতি, ভুয়া ও একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে সরকারী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, মাদক সেবন, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্তব্যে অবহেলা, স্বজনপ্রীতি ও মাদক সেবনের অভিযোগে তারা ইউনিয়ন পরিষদের আইন ২০০৯ সালের ৬১নং ও ইউনিয়ন পরিষদ সংশোধিত আইন ২০১০ সালের ৬০নং আইনের ধারা ৩৯ এর ২ উপধারা (১) অনুযায়ী চেযারম্যানকে অনাস্থা দিয়েছেন। এসময় তারা উক্ত চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করে প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান।
অনাস্থা আবেদনকারী ইউপি সদস্যরা হলেন কামাল হোসেন চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, হারুন অর রশিদ, আরিফ হোসেন, মোঃ মহসিন, সফিকুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, কাউসার আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাছরিন আক্তার প্রমূখ।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক সাংবাদিকদেরকে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মেম্বারদেরকে একটি মহল মোটা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোনাজের রশিদ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ৯নং ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের বিরুদ্ধে সকল মেম্বারদের দেওয়া অনাস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাকে তদন্তপূর্বক শুনানীর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই আলোকে সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে অনাস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শীগ্রয় রিপোর্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।