মাহমুদ ফারুক, ২৯ অক্টোবর: টানা বৃষ্টি ও বাজারে মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে জেলার প্রতিটি উপজেলার শাক-সবজি ও তরি-তরকারীর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার উর্ধ্বে। সর্বনিন্ম মুলার কেজি ৬০টাকা ও পেঁয়াজ ৮৫ ও আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তরি তরকারি ক্রয় এখন নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার রামগঞ্জ, সোনাপুর মাছ বাজারসহ বিভিন্ন হাঁট বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
দেশী ধনে পাতা ১শ গ্রাম ৩০ টাকা, করোলা কেজি প্রতি ৮০, কাঁচামরিচ ২শ, পটল ৭০, টমেটো ১শ, ঢেড়স ৭০, চিছিঙ্গা ৭০, লম্বা বেগুন ৮০, গোল বেগুন ৭০, পেপে ৪০, লাল শাক ৬০, পাতাকপি ৮০, মেটে আলু ৭০, মেটে কঢ়ুর ছড়া ৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, রসুন ১শ থেকে ১১০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা।
রিক্সা চালক আলী হোসেন জানান, শহরে শত শত ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার কারনে ভাড়াও কম। আগের মতো আয় রোজগার নেই। আগে প্রতিদিন আয় হতো ৫ থেকে ৭শ টাকা। এখন ভাড়াকৃত রিক্সার প্রতিদিনকার জমা টাকা দিতেও কষ্ট হয়। পরিবারে মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ রয়েছে ৭জন। তরি-তরকারী কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
একজন প্রবাসীর স্ত্রী রুবি বেগম জানান, করোনার কারনে স্বামীর আয় নেই। গত ১ বছরে স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া পরিশোধসহ মাছ, তরি-তরকারী ক্রয় এখন সাধ্যের বাহিরে। শহরে থাকতে হলে পানিটুক পর্যন্ত ক্রয় করতে হয়। এক কেজি মুলার দামও ৬০টাকা।
স্কুল শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, চারদিকে খাল বিল, ডোবা-নালা সেঁচ করে মাছ ধরায় বাজারে মাছের দাম কিছুটা কম। কিন্তু শাকÑসবজির মুল্য আগুন। লাউ শাক এক মুঠি ৩০টাকা। এছাড়া সাধারণ মানুষের আয় রোজগার কমে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে বলে জানান তিনি।
পাইকারী বিক্রেতা মদিনা বানিজ্যালয়ের মালিক মোঃ জহির শেখ জানান, অনেক তরকারী আজকের পাইকারী বাজারেই ক্রয় করতে ৮০ টাকা দরে। অথছ খুচরা বাজারেও বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০টাকা। তিনি দাবী করেন, গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টির কারণে মওসূমি শাক-সবজি খেতের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এমন হয়েছে।