নিজস্ব প্রতিবেদক, ৮ নভেম্বর: লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্র রবিউল আওয়াল শিমুল হত্যা মামলায় গেস্খফতারকৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার মুক্তি ও বিচারের দাবিতে পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাজতে থাকা তাজুলের পক্ষে ও সাড়ে ১২ টার দিকে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৃথক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে তাজুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম আলাউদ্দিন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শিপন খলিফা, যুবলীগের আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন ও চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রিয়াজ হোসেন জয়সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, তাজুল ইসলাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। রাজনৈতিক জীবনে তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। কিন্তু চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ষড়যন্ত্র করে শিমুল হত্যা মামলায় তাজুলকে চার্জশীটের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা বাবলু তৎকালীন বিএনপির সন্ত্রাসী নাসির বাহিনীর সদস্য ছিল। দুই বাহিনীর দ্বন্ধের কারণে বাবলুর ভাগিনা শিমুলকে হত্যা করা হয়। শিমুল হত্যায় কোনভাবেই তাজুল ইসলাম জড়িত নয়।
এদিকে একই দিন তাজুল ইসলামসহ হত্যা মামলার ৭ আসামির দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মুনছুর আহম্মদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ১৪ দলীয় ঐক্য জোটের আহবায়ক সাবির আহমেদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলাইমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাজুল ইসলাম বিএনপির সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল। ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল বাড়িতে ঢুকে কাজী মামুনুর রশিদের ভাগিনা শিমুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী তদন্ত করে ৭ জনের নামে প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম ছিল। হত্যার সঙ্গে জড়িত তাজুল ইসলামসহ জড়িতদের বিচারের জোর দাবী জানান তারা।
প্রসঙ্গত, শিমুল হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল তার মামা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বাদী হয়ে ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়কে তদন্তে নির্দেশ দেয়। শিমুল প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ৪ নভেম্বর র্যাব ১১-লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প অভিযান চালয়ে তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।