জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড হাজীরপাড়া গ্রামের কাজী বাড়ীর দীঘিতে প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মাছ চাষের কারণে দীঘিরপাড় ভেঙ্গে বিলিন হয়ে গেছে পানিতে।
এ যেন “কারো মাছ চাষ আর এলাকাবাসীর সর্বনাশ”। ফলে প্রতিদিনই এলাকার শত শত মানুষ উক্ত সড়কে চলাচল করতে গিয়ে মারাত্মক দূর্ভোগে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিতে গিয়ে মাছ চাষীদের হাতে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। দীঘির চারপাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ী ও শত শত মানুষের বসবাস।
সিএন্ডবি সড়ক থেকে কাজী বাড়ী দীঘি সংলগ্ন সড়ক দিয়ে স্থানীয় হামিদ আলী ব্যাপারী বাড়ী, ব্যাপারী বাড়ী, উত্তর ব্যাপারী বাড়ী, আরব আলী ব্যাপারী বাড়ীর বাসিন্দাসহ জয়পুরা উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরা ভোকেশনাল কলেজ, জয়পুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী, জয়পুরা সমিতির বাজারে প্রতিদিনই নিত্যপন্য ক্রয় করতে যেতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে।
কিন্তু কাজী বাড়ীর দীঘিতে মাছ চাষ করার কারনে সরকারীভাবে সংস্কারকৃত মাটির সড়কটি ভেঙ্গে দীঘিতে বিলীন হওয়ার পথে। একসময় এ সড়কটি দিয়ে সিএনজি, ভ্যান ও রিক্সা চলাচল করলেও কাজী বাড়ীর লোকজন অপরিকল্পিত মাছ চাষের কারনে সড়কটি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পায়ে হেঁটে চলাও দুস্কর হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর জন্য। দীঘির পাড় ভেঙ্গে আশেপাশের ঘরবাড়ীর জমিও দীঘিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ কাজী বাড়ীর লোকজন ও মাছ চাষকারী ব্যাক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ও কাজী বাড়ীর দীঘির পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় কাজী বাড়ীর লোকজন সাধারণ ও নিরিহ এলাকাবাসীকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন আরো জানান, দীঘির পাড়ের কয়েকটি জায়গায় সাইটওয়াল নির্মান বা মাটি ভরাট করে দিলে এলাকার শত শত মানুষ এ দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সে-ই সাথে চারপাশের বাড়ীর হতদরিদ্র মানুষদের ভিটেমাটিও রক্ষা পাবে বলে দাবী করে।
বিষয়টি সমাধানে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা মহোদয়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।