নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৩ ডিসেম্বর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মাঝে সংর্ঘষে উভয়পক্ষের আহত হয়েছে ৫ নেতাকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুরে রামগঞ্জ পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড রতনপুর ষ্টেশন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায়।
পৌর ৩নম্বর ওয়ার্ড রতনপুর-মধুপুরের বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ শাহাজাহান ও আগামী পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রাশেদ (স্পর্শ রাশেদ)’র সমর্থকদের মাঝে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সংর্ঘষে বর্তমান কাউন্সিলরের ভাতিজা জুনায়েদ হোসেন (১৯), ৩নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ মামুন (৩০), ৩নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ মোল্লা (৪২), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সফিক মোল্লা (৩৮), যুবলীগ নেতা সবুজ (৩২) ও যুবলীগ নেতা জাকির মোল্লা আহত হয়। এদের মধ্যে জুনায়েদ, মোঃ মামুনসহ ৩জনকে গুরুত্বর অবস্থায় রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমান কাউন্সিলর সমর্থক ফিরোজ আলম জানান, কাউন্সিলর শাহাজাহান সাহেব শারিরীকভাবে অসুস্থ্য থাকায় আমি রামগঞ্জ জনতা ব্যাংক শাখায় ব্যাংক তার স্টেটমেন্ট আনতে গেলে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রাশেদ তার গতিরোধ করে মোঃ শাহাজাহানকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে গালাগাল করে। এসময় আমি তাকে গালাগাল করতে নিষেধ করলে সে আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে।
এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রাশেদ হামলা ও গালাগালের ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানান, বর্তমান কাউন্সিলর শাহাজাহানের কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে আমার অফিস মিটিং চলাকালে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করলে যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ মোল্লা, সফিক মোল্লা, সবুজ ও জাকির মোল্লা মারাত্মক আহত হয়।
বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ শাহাজাহান জানান, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি গ্রুপ এলাকায় মহড়া দিচ্ছে, হুমকি ধমকি দিচ্ছে। নির্বাচনের এখনো প্রায় ১মাস বাকী থাকলেও আমার কর্মী সমর্থকরা তার বাহিনীর হাতে রক্তাত্ব হয়েছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা সংর্ঘষের খবর শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলেই ধাওয়া দিলে উভয়পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এছাড়া বর্তমান কাউন্সিলর ও অপর কাউন্সিলর প্রার্থীকে রাতে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে যে-ই জড়িত থাকুক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।