তামজিদ হোসেন রুবেল, ৩০ ডিসেম্বর:
পরিবেশ আইন অমান্য করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা ভাটরা ইউনিয়নের হীরাপুর ৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন কৃষি জমির মাটি (টপ সয়েল) খনন করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাগুলোতে।
এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশর ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও উক্ত কৃষি জমির মাটি আনা নেয়ার জন্য দানবীয় চাকার ট্রলির কারনে সদ্য নির্মিত সড়কটিও ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমির (টপ সয়েল) বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভাটরা উনিয়নের হীরাপুর গ্রামের বসতভিটার পাশে ৬০০ বিঘা জমি
রয়েছে।
ইতোমধ্যে ৬০টি স্থান থেকেপ্রায় ১৫০ বিঘা জমির মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাটি বিক্রি করায় বাধা দেয়া ও প্রতিবাদ করলে মারধর ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসীকে।
সরেজমিনে হীরাপুর ৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির পাশে কয়েকটি ফসলি জমি ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র। প্রতিটি জমিতে ২ থেকে ৩টি ভ্যাকু মেশিন বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ট্রলি ভরে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
পাশ্ববর্তী ইটভাটাগুলোতে।
ভ্যাকু চালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত দুইদিন যাবত তিনি এখান থেকে মাটি কাটছেন। প্রতিদিন শতাধিক
ট্রলিতে মাটি বোঝাই করে পাশ্ববর্তী ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
এসব জমির মাটি কামাল শেখ নামের এক ব্যক্তি কৃষকদের থেকে কিনে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী মোঃ কামাল শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে
মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করে থাকি। মাটির ব্যবসা করে কোন ভুল কিছু করি না। আপনার যা ইচ্ছে আপনি
পত্রিকায় তাই লিখেন।
এদিকে ১০ নং ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু বলেন, ইটভাটার কারনে ফসলি জমি ও
রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি বা কেটে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।