তাবারক হোসেন আজাদ, ৯ জানুয়ারী: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোলাখালী ব্রীজ থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক গত ৪ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কটির পুরো অংশজুড়ে খানাখন্দে ভরা। সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বার বার আবেদন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে সড়ক ব্যবহারকারী শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নাই।
জানা গেছে, দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম আলোনিয়া গ্রামের-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বিরামপুর বাজার সড়ক। ৫ কিলোমিটার সড়কটির ২ কিলোমিটার রায়পুর উপজেলা অংশে ও বাকী ৩ কিলোমিটার ফরিদগঞ্জ উপজেলার অংশে গত ১০ বছরের বেশি সময় পূর্বে সংষ্কার করে এলজিআরডি বিভাগ।
সড়কটি দিয়ে উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষ রায়পুরেই আসেন। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির পুরো অংশজুড়ে খানাখন্দে সয়লাভ হয়ে গেছে। কাপেটিং ও ইট-খোয়া উঠে গিয়ে বালুর মধ্যে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত সিএনজি, রিক্সা-অটো রিক্সা চলাচল করে। পাশাপাশি নিত্যদিনের খাবার, চিকিৎসা, ব্যবসার জন্য বাস-মিনিবাসসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচলের অন্যতম মাধ্যম এ সড়কটি। রাস্তার এ বেহাল দশার কারনে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কগ্রস্থ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় শিক্ষক ফিরোজ আলম জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বালুর সরু ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাওয়ার কারনে দুইটি সিএনজি রিক্সা পাশাপাশি চলতে পারে না। পাশ কেটে যাওয়ার সময় প্রায়ই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সিএনজি চালক আমিন হোসেন ও জোবায়ের জানান, আমরা গাড়ি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে ৫টি বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়াসহ বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকি। এমনিতেই রাস্তাটি সরু। তার উপর কার্পেটিং উঠে গিয়ে আরো সরু ও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। পাশাপাশি দুইটি রিক্সা একত্রে চলতে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়। এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ন সড়কটির বেহাল দশার কারনে জনসাধারনের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সুমন চৌধুরী ও আলোনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাছেদ বলেন, দুই ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ততম এ সড়কটি দিয়ে রায়পুরে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে। বেহাল সড়কটি মেরামতের জন্য গত ৪ বছর ধরে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও-জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েও কোন পদক্ষেপ মেলেনি । বর্তমানে এ সড়কটি অত্র এলাকার প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। সকল মানুষের দাবি গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি ১০ ফিট থেকে ১৬ ফিট চওড়াসহ সংস্কার করা জরুরী।
চাঁদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস মোবাইল ফোনে বলেন, ফরিদগঞ্জ-রায়পুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রায়পুর ও পশ্চিম আলোনিয়া ইউনিয়নের গ্রামের গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি সম্পর্কে-জানা নাই। কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।