তাবারক হোসেন আজাদ, ১৩ ফেব্রুয়ারি:
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ৭০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ, বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থাগ্রস্থ ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জরীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
বৃহস্পতিবার রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলায় ঝরে পড়া স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়ন কর্মসূচি বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বেসরকারী এনজিও ডরপের সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার আক্তার জাহান সাথী, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম সাইফুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোস্তাফ আহমেদ ও ডরপের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবদুল মালেক প্রমুখ।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় জেলার সদর, রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০ টি করে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী বলেন, ‘ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে। বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।