মাহমুদ ফারুক, ১৪ ফেব্রুয়ারি: চতুর্থ ধাপে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে গোপন কক্ষের ওপেন করতে বাধ্য করা, বহিরাগতদের এনে ভোটে প্রভাব বিস্তার, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মেয়র পদের বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এক সঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মনের অভিযোগ এনে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী শাহেদ আলী পটু জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জামাল উদ্দিন প্রার্থীতা বর্জনের ঘোষণা দেন।
বিএনপি’র প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, সকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর পরিমানে ভোটারদের উপস্থিতি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন মেজুর সমর্থিত বহিরাগতরা প্রভাব বিস্তার করে সব কেন্দ্র থেকে ধানেরশীষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে সবার সামনে নৌকায় ভোট দেয়া শুরু করে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে জানালেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় নির্বাচনকে উলঙ্গ নির্বাচন আখ্যা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
একই অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী আলমগির হোসেন বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ চললেও আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। এ ধরনের ডিজিটাল কারচুপির ভোট, অনিয়মের ভোট বর্জন করছি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জামাল উদ্দিন জানান, যদি এ ধরনের নির্বাচন হবে তাহলে নির্বাচন দেয়ার দরকার ছিলো না। সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা প্রচর ভোটার সমাগম হলেও ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে সবার সামনে ভোট দিতে। এ এসব অনিয়মের অভিযোগে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন (নৌকা প্রতীক) সহ মেয়র পদে আরও ৩ জন এবং কাউন্সিলর পদে মোট ৪৯ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারগণ।