সাইদুল ইসলাম পাবেল, ১৭ ফেব্রুয়ারি:
লক্ষ্মীপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাশেদা বেগম (২৭) নামের এক গৃহবধুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঐ গৃহবধুর দেবরের শশুর বাড়ির লোকজন এ কান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবার। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলার পর মামলা করলে প্রধান আসামী স্থানীয় মোস্তফার ছেলে মাইন উদ্দিনকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগুনে ওই গৃহবধুর শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। গৃহবধূ রাশেদা বেগম চর উভূতি গ্রামের জাহের হোসেন এর স্ত্রী। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে একটি স্বর্ণের চেইনকে কেন্দ্র করে রাশেদার সঙ্গে তার দেবর ও দেবরের শশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে রাশেদার স্বামীর বাড়ীতে তার দেবরের শশুর বাড়ীর লোকজনের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা রাশেদার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। পরে তাকে বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতিতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় দেবরের শশুর বাড়ীর মাইন উদ্দিন, শাহজাহান, লিটন ও আশরাফকে আসামী করে মামলা করেন ভিকটিম গৃহবধুর ভাই। পরে পুলিশ মাইন উদ্দিন গ্রেফতার করে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, গৃহবধূর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।