রাকিব হোসেন আপ্র, ২২ ফেব্রুয়ারি:
১৯৯৬ সালের ৩ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ খলিফার ক্রয়কৃত ৩০ শতাংশ জমি বিরোধের জেরে ওয়ারিশদের হুমকি-ধমকি ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জায়গাটি দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েত উল্লাহ খলিফার স্ত্রী নুরজাহান বেগম, ছেলে হুমায়ুন কবির, মেয়ে মারজাহান বেগম ও সেলিনা আক্তার এবং নাতি আবির হোসেন সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হুমায়ুন কবির জানান, সদর উপজেলার পশ্চিম জামিরতলী গ্রামের আফজাল পাটওয়ারীর ছেলে ইউসুফ পাটওয়ারী ও মুরাদ পাটওয়ারীসহ তাদের সহযোগীরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ৩০ শতাংশের ওই জমিটি দখল করে নিয়েছে। এবিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে বা বেশি জানাজানি করলে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হুমায়ুন কবির।
এদিকে মরহুম আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েত উল্লাহ খলিফার খুনীদের বিচার চেয়েছেন তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুর সফরে এসে আমাদের সান্তনা দেন। একই সঙ্গে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত বিচার পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হেদায়েত উল্লাহ খলিফা হত্যার বিচার এবং তার মালিকানা জমিটুকু ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।