মাহমুদ ফারুক, ২৩ ফেব্রুয়ারি: গত রবিবার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর ডুমুরিয়া মসজিদ বাড়ীতে বিদ্যুতের পিলার থেকে সংগঠিত আগুনে একই বাড়ীর ১৪টি বসতঘর ও ঘরের মূল্যবান মালামাল পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজনীতিবিদসহ এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন লক্ষ্মীপুর ১ রামগঞ্জ আসনের সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)র মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা ও রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
জানা যায় রবিবার গভীর রাতে ডুমুরিয়া মসজিদ বাড়ীর একটি বিদ্যুতের পিলার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে পুরো বাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ে। রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ঘটনাস্থল থেকে বহু দুর ও সড়কের বেহাল দশার কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেতে না পারায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন আরো দাবী করেন, বিদ্যুতের পিলার থেকে একটি সংযোগে বার বার আগুন ধরায় স্থানীয় ও রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু তার আসবো আসবো করেও শেষ পর্যন্ত না আসায় আমরা আজ পথের ফকির হয়ে গেছি।
আগুনে তছলিম হোসেন, অহিদুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোঃ ইদ্রিস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, নাছির, মোঃ মিলন, জাকির হোসেন, সামছুল ইসলাম, মোঃ বাবলু, তাজুল ইসলাম, মাসুদ আলম, দুলাল হোসেন ও নুরুন্নাহার বেগমের বসতঘর ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দেখতে ছুটে আসেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)র মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। নিজস্ব উদ্যেগে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে নগদ ১০হাজার টাকা প্রদান করেন। এসময় তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সর্ব্বোচ্ছ সহযোগীতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করে আরো বলেন, এ এলাকার ধর্ণাঢ্য লোকজন এগিয়ে আসলে খোলা আকাশের নীচে বেশিদিন থাকতে হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা তোফায়েল আহম্মেদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, নেতা কবির হোসেন কানন, রেজাউল করীম ডিহিদার, টিপু সুলতান ভূইয়া, খোরশেদ রাব্বানী, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দুলাল হোসেন দুলাল, এমরান হোসেন, ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন নিশান, ইউনুছ খাঁন, মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা আবদুর রহমান, ডাক্তার আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও যুবদল নেতা কাউসার মাল প্রমূখ।
