মাজেদ হোসেন, ১৭ মার্চ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মোঃ মুন্না (১৩) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে রায়পুর পৌর এলাকার পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের আফিয়া হারুন নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে চিকিৎসার জন্য শিক্ষার্থী মুন্নাকে সরকারি হসপিটালে নিয়ে গেলে রায়পুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধা করে।
তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, হসপিটালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের মাদরাসা সুপার মাওলানা মোঃ মুজাম্মেল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থী মুন্না কেরোয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেন ও মমতাজ বেগম দম্পতির সন্তান।
মুন্নার মা মমতাজ বেগম জানান, বড় ছেলে ঢাকার উত্তরা একটি কলেজে পড়ে। মেঝ ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুন্নাকে ওই মাদরাসায় কোরআন পড়ার জন্য গত আগষ্ট মাসে ভর্তি করান তিনি। বুধবার দুপুরে ওই মাদরাসায় খাওয়ার পর থেকে হটাৎ বমি করে মাটিতে লুটে পড়ে মুন্না। দ্রুত মুন্নাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তৃব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। মুন্নার মা মমতাজ বেগম আরো বলেন, আমার শিশুকে মাদরাসা সুপার হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করছি।
শিশুটির শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি ও হাসপাতালে আসার আগেই শিশুটি মারা গেছে বলে জানান রায়পুর সরকারী হসপিটালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার সিরাজুম মুনিরা।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল জলিল জানান, কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে হত্যা না অন্য কিছু। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাবাদের জন্য মাদরাসা সুপার মোঃ মুজাম্মেল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।