জহিরুল ইসলাম, ৩০ মার্চ:
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রামগঞ্জে পূর্ণবাসিত হচ্ছেন ৭০ জন ভূমিহীন পরিবার।
বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর অধীনে উপজেলার লামচর ও কাউনিয়া গ্রামে এ লক্ষে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলীপ দে ও সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জুয়েল রানার সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় এ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে দূর্বার গতিতে ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার শতাধিক ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকের আবেদন যাছাই বাছাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে প্রকৃত গৃহহীনদের তালিকা করেন।
বাছাইকৃত তালিতাভুক্তদের অনেকের নামে আশ্রয়ন কেন্দ্রেও ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রকল্পে গতিশীল ও কাজের গুনগত মান সার্বক্ষনিক তদারকি করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিটি পরিবার নির্মাণাধীন বসতঘর নির্মানে বরাদ্দ পান একলক্ষ সত্তর হাজার টাকা।
সরকারী নির্দেশনায় দুইটি বেড রুম, একটি বারান্দা, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, যাতায়াতে একটি গলি রয়েছে। এ ছাড়াও আশ্রায়ন প্রকল্পে থাকছে বিশুদ্ধ পানি, রান্না, গোসল করার মত পুকুরের ব্যবস্থা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা জানান, গৃহহীনদের জন্য পূর্ণবাসন চাহিদার চেয়ে কম রয়েছে বরাদ্দ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা ধাপে ধাপে অত্র উপজেলার সকল গৃহহীনদের পূর্নবাসন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার ভূমিহীনদের জন্য, যার কারণে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মানে শতভাগ সঠিকভাবে হতে হবে।
এ কাজে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে কিছু অসাধু ব্যাক্তি অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প বরাদ্দ, নির্মাণ নিয়ে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রতকর সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা হতবাক হয়েছি। যাহা কোনভাবে কাম্য নয়।