মাহমুদ ফারুক, ৮ এপ্রিল:
মেঘনা নদীর মাঝ নদীতে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কলমীলতা নামে চলমান ফেরিতে আগুন লেগে ৯টি গাড়ী পুড়ে গেছে। আজ ভোর ৪টার লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাঁট ও ভোলার মাঝামাঝি নদীতে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আগুনে ফেরিতে থাকা ৯টি গাড়ী পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।
বিআইডব্লিউটিসি ভোলার ব্যাবস্থপক মো. পারভেজ আগুনের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ১৬টি গাড়ি নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাঁট ত্যাগ করে ফেরিটি। হটাৎ আগুনে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ ৯টি গাড়ি পুড়ে গেছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি। কারণ শনাক্তে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। বর্তমানে ফেরিটি লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর একটি চর এলাকায় নোঙ্গর করা আছে।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে মাঝ নদীতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পৌঁছানো ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা ফেরি থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে নিরাপদে সরে গেছেন।
লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। তবে ট্রাকসহ ৯টি গাড়ি পুড়ে গেছে। ভোলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
ভোলা নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন কুমার পাল জানান, লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মাঝরাতে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি ‘কলমীলতা’ ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ভোর রাত ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট পার হয়ে মেঘনার মাঝ নদীতে আসার পর হঠাৎ আগুন লেগে যায়। ফেরিতে দুই তিনটি ট্রাক ছাড়া সবগুলো ট্রাকসহ মালামাল পুড়ে গেছে।
ফেরিতে থাকা ভোলাগামী যাত্রী ইব্রাহীম জানান, আমি তখন ফেরির ক্যান্টিনে ছিলাম। ৪টার দিকে হঠাৎ করেই চলন্ত ফেরিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। পরে যাত্রীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। আগুনের খবরে ভোলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পিকআপ ভ্যানের যাত্রী জানান, আমার গাড়িতে বেঙ্গল প্লাষ্টিকের মালামাল ছিল। আগুনে সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের ভয়াবহতা দেখে মাছ ধরার ট্রলার এগিয়ে আসায় ফেরির অন্য যাত্রীদের সাথে আমিও রক্ষা পেয়েছি।