আলমগীর হোসেন রিপন: সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিতে চাইলেও তারা সেখানে যায়নি৷
যদিও জনসাধারণের দাবি তাদের পূর্ব থেকে সতর্ক বার্তা না দেয়ায় অনেক জেলে মাছ ধরতে নদীতে চলে গিয়েছিলো।
২৬মে দুপুর নাগাদ সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল হায়াত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, চরচান্দিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান উপজেলার চরচান্দিয়া ইউপি ও সদর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান জেলে পাড়া পরিদর্শন করতে এসে দেখেন অনেক জেলে মাছ ধরতে নদীতে চলে গেছে।
তখন ট্রলারে করে গিয়ে প্রায় ১০-১৫টি মাছ ধরার নৌকাকে জেলেসহ নদীর পাড়ে আসতে বাধ্য করে। এবং তাদের থেকে ভবিষ্যতে এমনটি না করার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে রাতের জোয়ারের পানিতে আরো বেশী অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জেলে পরিবারের ঘরবাড়ী গুলো পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম পলাশ, সোনাগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন, উপজেলা সিপিবির সহকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন মৃধা, স্থানীয় ইউপি সদস্য তোতা মিয়া, নুর ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল হায়াত বলেন, আমরা শুরু থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য বলেছি। এছাড়াও গতকাল ২৫শে মে মৃত্যুবরণ করা জেলের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।