মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ:
রায়পুর পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডস্থ পূর্বলাচ গ্রামের জনৈক স্কুল ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে ও থানায় মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে কারাগারে আটক অভিযুক্ত ইউছুফ এর পরিবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
সোমবার সন্ধায় ভুক্তভোগী পরিবার রায়পুর সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্য্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত অভিযোগ প্রদান করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত ইউছুফকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তার স্বজনরা বর্তমানে স্কুল ছাত্রের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ প্রাণনাশের ভয় দেখাচ্ছে বলেও জানান সেই ছাত্রের পরিবার। বর্তমানে তারা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ইউছুফ উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ খানবাড়ির মৃত হাসান খানের ছেলে।
ঘটনার বিবরনে বাদীপক্ষ জানায়, গত ১ লা জুন রোজ মঙ্গলবার বিকালে ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করে।
ঐদিন আছরের নামাজের পর ছেলেটি পুকুর পাড়ে ছিল।স্থানীয় ইউছুফ (৪২) শায়েস্তানগর নিবাসী ১০ নং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের খান বাড়ি কৌশলে ছেলেটি কে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে নিয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে।
পরে ছেলেটির উচ্চশব্দে পাশের লোকজনে জানাজানি হলে ইউছুফকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গণধোলাই দেয়।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানায় একটি মামলা হয়।
বাদীর পরিবারের লোকজন আরো জানান, মোঃ ইউছুফ এবং তার নিকটাত্মীয়রা বাদীপক্ষ কে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। আর মামলা তুলে না নিলে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। বাদীপক্ষ আতংকে আতংকিত।
বাদী আব্দুল লতিফ বলেন, “তারা সর্বদা আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে, আমরা অসহায়। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন, নইলে আমাদের বড় ক্ষতি করে ফেলবে”
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, প্রাণনাশের অভিযোগ লিখিত আকারে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ইউছুফ অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া একটি ছেলেকে ধর্ষন করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন। উত্তেজিত জনতা তাকে সামান্য মারধর করলে রায়পুর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা হয়েছে সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। তার এই ধরনের অভ্যাস পুরাতন। এমন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ও মামলা হয়েছে। তাছাড়া আরও কয়েকজন বাচ্চাকে এই ধরনের কাজ করেছে মর্মে তথ্য পেয়েছি।