নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ শূন্য ঘোষণা করে জারি করা গেজেট ও উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসনটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হন শহিদ ইসলাম পাপুল।
ঘুষ লেনদেনের দায়ে কুয়েতের আদালতে তিনি দণ্ডিত হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
আসনটি শূন্য ঘোষণা ও আসনটিতে উপ-নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পাপুলের বোন নুরুন্নাহার বেগম এবং ওই আসনের বাসিন্দা পাপুলের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী শাহাদাত হোসেন।
গতকাল সোমবার রিটের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য ধার্য ছিল।
আইনজীবীরা জানান, রিটটি খারিজ আদেশের ফলে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা ও উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বহাল থাকলো।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। নির্বাচন কমিশন ওই আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ৪ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ১১ এপ্রিল ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে আগামী ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।
ঘুষ লেনদেনের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ২৮ জানুয়ারি সাজা দেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। বিচারক রায়ে তাকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।