
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা বা পরে ক্ষতি করতে গিয়ে নিজের জমিতে গর্ত করা কিছু লোকের স্বভাবে পরিনত হয়েছে। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর আঙ্গারপাড়া গ্রামের পূর্ব আঙ্গারপাড়া দাস বাড়ী সংলগ্ন এলাকায়।
ক্ষোভ মেটাতে দাসবাড়ীর নেপাল চন্দ্র দাস নিজের জমি থেকে পরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে স্তুপ করে রাখায় রামগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের দোতলা বাড়ীর সামিয়া মঞ্জিলের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গিয়ে পুরো ভবনটি ঝুঁকিতে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি দীর্ঘদিন আগে দাস বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় জমি কিনে মাটি ভরাট করে দোতলা বাড়ী নির্মান করি। এখানে আমার তুলা ও ঝুটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কর্মরত রয়েছে ২৫জনের অধিক শ্রমিক।
গত মাস তিনেক পুর্বে আমার পশ্চিম পাশের জমির মালিক দাসবাড়ীর নেপাল চন্দ্র দাস আমার ভবনের সীমান প্রাচীর ঘেঁষে তার জমি থেকে মাটি তুলে বিশালাকৃতির গর্ত করা শুরু করলে আমি বাধা দেই। কিন্তু তিনি আমার কথা না শুনে আমাকে উল্টো হুমকি দেয় আমার জায়গায় আমি গর্ত করবো, তাতে আপনার কি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে এলাকা ছাড়া করা হবে। আমি বাধ্য হয়ে চুপ থাকলেও গতকাল (২৯জুন) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমার বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ও সাইটওয়াল বিকট শব্দে ধ্বসে পড়ে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ ভবনটি হুমকির মুখে পড়ে।
এ বিষয়ে আমি রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মহোদয়, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি অবহিত করেছি। এছাড়াও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা মহোদয়কেও লিখিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ক্ষতিগ্রস্থ ভবন মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নেপাল চন্দ্র দাস পৌরসভার নিয়মের তোয়াক্কা না করে আমার ভবন ঘেঁষে মাটি কাটায় আমার কয়েকলক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ব্যপারে মামলা করবো।
এ ব্যপারে নেপাল চন্দ্র দাসের সাথে কথা বলা না গেলেও তার ছেলে ঝুটন চন্দ্র দাস জানান, তার (জাহাঙ্গীর আলম) ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ার কারনে বেশি বৃষ্টিতে সাইটওয়াল ও সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়েছে। তবে এসময় তিনি জানান, ঐ ভবনের লোকজন আমাদের জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারনে তা পরিস্কার করা হয়েছে। মাটি কেটে গর্ত করার কথা সঠিক নয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ জানান, আমাকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাছাই করে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করবো।
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। পৌরসভার আইন লঙ্গন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা জানান, আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কাজ সেরে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাবো।