ক্লাউড কিচেন বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারী তে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে বসেই মজাদার এবং সুস্বাধু খাবার তৈরি করে নেট দুনিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক পাচ্ছেন ক্লাউড কিচেন নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তাগণ। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় ক্লাউড কিচেন সার্ভিস নিয়ে কাজ করে লাখপতি হয়েছেন কানিজ ফাতিমা রিয়া। গত ছয় সাত মাসে কোনো ধরণের দোকান ছাড়া ঘরে বসেই বানিয়ে নিচ্ছেন খাবার আর তা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে গ্রাহকের কাছে। তার ক্লাউড কিচেন এর নাম Nurer Allo Food House । যেখানে জনপ্রিয় মেন্যু হচ্ছে খাসির কাচ্চি বিড়িয়ানী।
এছাড়াও আছে বিফ বিরিয়ানি, চিকেন কাবাব ডিম
আলু
সালাদ
মোরগ পোলাও(২৫০টাকা)মেনুতে যা থাকবেঃ
পোলাউ
রোস্ট
চিকেন কাবাব
ডিম
আলু
সালাদ
ইলিশ পোলাও(৩০০টাকা)মেনুতে যা থাকবেঃ
পোলাউ
ইলিশ
চিকেন কাবাব
ডিম
সালাদ
বাংলা সেট মেনু-
ভাত
সবজি
মুরগির ঝালফ্রাই(দেশি,বয়লার)
মসুর ডাল ভুনা
বেগুন ভর্তা /শুঁটকি ভর্তা।
চাইনিজ মেনু সেট-(২৫০টাকা)
ফ্রাইড রাইস
চিকেন ফ্রাই
চিকেন ভেজিটেবল
বিফ খিচুড়ি(৩৫০টাকা)মেনুতে যা থাকবেঃ
খিচুড়ি
বিফভুনা
বেগুন ভাজা
ভর্তা
সালাদ
চিকেন খিচুড়ি-(২৫০টাকা)মেনুতে যা থাকবেঃ
খিচুড়ি
চিকেন ভুনা
বেগুন ভাজা
ভর্তা
সালাদ
ইলিশ খিচুড়ি (৪০০টাকা)মেনুতে যা থাকবেঃ
খিচুড়ি
ইলিশ ভাজা
বেগুন ভাজা
ভর্তা
সালাদ
স্পেশাল পায়েস আইটেম –
ক্ষীরের পায়েস -(২০০টাকা)
সাধারন পায়েস -(১৮০টাকা)
ফেসবুক পেইজ দিয়ে শুরু করা তার এই উদ্যোগ আজকে অনেকটাই সফল বলা চলে। কানিজ ফাতিমা রিয়া জানান, “শুরুর দিকে অর্ডার কম আসলেও ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়তে থাকে। আর খাবার নিয়ে ব্যবসা করা টা চ্যালেঞ্জিং। কারণ খাবারের মান সবসময় এক রাখতে হয়। যদি আপনার খাবারের ব্যবসায় ৮০% এর উপর পজিটিভ রিভিউ আসে তাহলে আপনি সফল। আর সেই দিক থেকে চিন্তা করলে আমার ক্লাউড কিচেন সার্ভিস টি আমি বলবো সফল। তবে উপজেলা পর্যায়ে বড় সমস্যা ডেলিভারী। ডেলিভারীর সমস্যার কারণে আমাদের অনেক অর্ডার ই ড্রপ হয়েছে। আমরা আপাতত শুধুমাত্র রামগঞ্জ পৌরসভায় কাজ করছি। যদি স্থানীয় ডেলিভারী সার্ভিস প্রোভাইডার রা এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের ব্যবসার পরিসর বাড়বে।”
Nurer Allo Food House নিয়ে সামনের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, “সারাহা নামে আমাদের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরির ইচ্ছে আছে। সেটা নিয়ে কাজ ও শুরু করেছি। আমাদের ওয়েব সাইটের কাজ চলমান। সেখানে লক্ষ্মীপুর জেলায় খাবার নিয়ে কাজ করা যে কোনো নারী উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে এবং আমাদের নিজস্ব ডেলিভারী ম্যান থাকবে। খাবারের বাইরেও আমরা কাজ করবো ইনশা আল্লাহ।”