ঘুমানোর আগে উঠে গিয়ে দেখে আসলো বাবা ঘরে ফিরেছে কিনা, দরজা লক করা হয়েছে কিনা। পুরো বাড়িতে নীরা আর তার বাবাই থাকে। মা মারা গেছে কয়েক বছর হলো।
সব ঠিকঠাক দেখে নীরা ঘুমাতে গেলো। এবং অল্প সময়েই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।
হটাৎ মনে হলো তাকে কেউ ঝাপটে ধরে আছে, নীরার ঘুম ভেঙে গেলো। হকচকিয়ে উঠতে চেয়েছে, কিন্তু উঠতে পারেনি। ক্রমাগত কেউ তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ক্রমাগত হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে । নীরা চিৎকার করছে বাবাকে ডাকার জন্য, কিন্তু তার মুখ বাধা বলে পাশের ঘর থেকে বাবা তার ডাক শুনতে পারছেনা। শুনতে পেলে হয়তো নিজের জীবন দিয়ে হলেও মেয়ের ইজ্জৎ রক্ষা করতো বাবা। নীরা নিজেকে ছাড়ানোর জন্য জোরজবরদস্তি করেও কোনো লাভ হলো না।
বারান্দায় থাকা বাতির হালকা আলোতে নীরা ঠিক চিনে ফেলেছে তার সাথে এমন হিংস্রতা কে করছে। এরপর নীরা একটুও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। দুচোখ বেয়ে অঝোরে কেবল পানি ফেলছে। হিংস্র পুরুষ তার ক্ষুধা মিটিয়ে নীরার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
সকালে পুলিশ, সাংবাদিক, আর সাধারণ মানুষে ভরে গেছে নীরাদের বাড়ি। সিলিং এ ঝুলানো নীরার (উত্তপ্ত যৌবনে পরিপূর্ণ অকার্যকর দেহ) মরদেহ।
নীরার বাবা নির্বাক। সাংবাদিকরা নানান প্রশ্ন করলেও তার মুখ থেকে কোনো কথা বের করা সম্ভব হচ্ছে না। হাতে একটা কিছু মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছেন তিনি।
এই কাগজ তিনি অনেক আগেই পড়েছেন। এটা তার কাছে নীরার শেষ চিরকুট অথবা শেষ কথা। রঙিন কাগজে খুব সুন্দর করে বাবাকে চিরকুট লিখে গেছে নীরা।
প্রিয় বাবা,
মা তোমাকে ঠকিয়েছে। তোমাকে রেখেই চলে গেছে ঐ স্বার্থপর মহিলা। তুমি আরেকটা বিয়ে করো বাবা। তোমার নতুন স্ত্রী যেনো সদ্য যৌবনে পা দেওয়া যুবতী হয়। পারলে তুমি আদর করে তাকে নীরা নামেই ডেকো।
ইতি— ধর্ষিতা