মাহমুদ ফারুক:
ভোটের আগে সবারই এক কথা, নির্বাচিত হলে আপনাদের দূর্ভোগ নিরসনে এ সাঁকোর যায়গায় ব্রীজ করা হবে। অনেক কষ্ট করেছেন দীর্ঘদিন, নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকেই তো এসেছেন আবার চলেও গেছেন। কিন্তু আপনাদের কথা কেউ মনে রাখেনি। এবার নিশ্চয়ই আপনাদের কষ্ট দুর হবে। এ ধরনের কথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রার্থীদের মুখ থেকে শুনলেও গত ৫০ বছরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বছরের পর বছর আশার বানী শুনেছেন, জেলার রামগঞ্জ পৌর রতনপুর গ্রামের গুলবাগ আবাসন প্রকল্প সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকার রতনপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর সবার ভাগ্যের পরিবর্তন হয় কিন্তু এ এলাকাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। একটি ব্রীজের জন্য অর্ধশত বছর অপেক্ষায় রয়েছি, অথছ কেউ কথা রাখেনি।
মনের কষ্ট আর দূর্ভোগের কথা এভাবে জানান রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড রতনপুর গ্রামের নোয়া বাড়ী, রজনী বনিক বাড়ী, রায় হরন বনিক বাড়ী, ভগিরথ বনিক বাড়ী, আবদুল গণি পেশকার বাড়ী, কাচারীবাড়ী, কালা চাঁদ বনিক বাড়ীর বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বংশি বদন বনিক জানান, একটি ব্রীজের অভাবে আমরা দীর্ঘ কয়েক যুগ অপেক্ষায় রয়েছি। প্রতিদিন এ ব্রীজ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। বিকল্প সড়ক নেই বললেই চলে। একটি চালের বস্তা আনতে গেলেও অতিরিক্ত টাকা খরছা করতে হয়। আর স্কুল খোলা থাকলে বাবা মা বা নিকটজন ঘরের কাজ রেখে বাচ্ছাদের সাঁকো পার করে দিয়ে আসতে হয়। অধিক মানুষের যাতায়াতের কারনে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ বার সাঁকোটি নির্মান করতেও টাকা খরছ করা লাগে। অনেক নেতাকর্মীর কাছে দেনদরবার করেও কোন লাভ হয়নি।
চা দোকানী মনির হোসেন জানান, আমরা জন্মের পর থেকে এখানে বাঁেশর সাঁকো দেখে আসছি। আগে ছিলো দুই বাঁশের সাঁকো। দিন দিন লোক সংখ্যা বাড়ার কারনে খালের উপর গাছ দিয়ে চওড়া করে বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়েছে। প্রতি বছর তা সংস্কারে গুনতে হয় অনেক টাকা।

আবদুল মতিন নামের আরেক বাসিন্দা জানান, শুধুমাত্র একটি ব্রীজের অভাবে এখানে সম্পদের মূল্য অনেক কম। অথছ পৌরসভার অন্যতম এবং উন্নত ওয়ার্ড হিসাবে পরিচিত রতনপুর গ্রামটি। একটি ব্রীজ নির্মান হলে এখানকার জমির দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যপারে রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জানান, রতনপুর দক্ষিণ মাথার স্টীলের ব্রীজ ও রতনপুর গুলবাগ আবাসন এলাকার এ ব্রীজটি নির্মানে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন মহোদয়কে বলার পর তিনি সরেজমিনে দেখে ব্রীজ নির্মানের আশ^াস দেন। খালটি অনেক চওড়া হওয়ায় ব্রীজ নির্মানে অনেক টাকা দরকার। এ দুইটি স্থানে ব্রীজ নির্মান করা গেলে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ অনেকটা দুর হবে বলেও তিনি জানান।