নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদকসেবী স্বামী কতৃক রামগঞ্জে তিন সন্তানের জননী আসমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনার ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ গৃহবধূ রবিবার রাতে মারা যান।
গৃহবধূ আসমা বেগমকে হত্যার অভিযোগে মোঃ ইউসুফ হোসেন (৩৫) নামের এক পাষন্ড স্বামীকে আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আজিজ মুন্সী বাড়ীর নিজ বসতঘর থেকে ঘাতক স্বামী ইউসুফকে আটক করা হয়। আটককৃত মোঃ ইউসুফ হোসেন ঐ বাড়ীর মৃত নুরুল হকের ছেলে।
রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরুল আলম জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী মোঃ ইউসুফ তার স্ত্রী আসমা বেগমকে মারধর করতো।
ঘটনার দিন গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় মাদক সেবন করে স্বামী ইউসুফ স্ত্রী আসমা বেগমকে বেধম মারধর করে।
মুমুর্ষ আসমা বেগমের আত্মীয়স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে রেফার করলে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আসমা বেগমের ছোট ভাই মোঃ মামুন হোসেন সোমবার রাতে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ঐ দিন রাতেই রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক জহিরুল আলম, উপ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ও উপ পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ একদল পুলিশ আসমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দেহলা গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে স্বামী ইউসুফকে আটক করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃত স্বামী মোঃ ইউসুফকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে ও নিহত আসমা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে সদর হসপিটাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।