মাহমুদ ফারুক:
এ–ই লাগবে নৌকা-হাতপাখা-আনারস-ঘোড়া? আপনার যে মার্কা দরকার-আসুন আমাদের কাছে, তাই পাবেন। যে কোন মার্কা, মাত্র ৫ টাকা-৫টাকা-৫টাকা।
এভাবেই বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত লেমিনেটেড স্টীকারের ভ্রাম্যমান দোকানদার ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে।
আজ শুক্রবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়ার দিনে উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দেখা যায় এ দৃশ্য।
সাইদুল ইসলাম নামের একজন বিক্রেতার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, আমরা প্রেস থেকে বিভিন্ন দলের মার্কা ও মেম্বারদের মার্কাওয়ালা ছবি ছাপিয়ে তা ফেরি করে বিক্রি করি। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নেই, কোন কোন এলাকায় ভোট। তারপর সেখানে প্রতীক বরাদ্ধ বা নির্বাচনের দিন ৫টাকা থেকে ২০টাকা দরে বিক্রি করি প্রতিটি স্টীকার। বেছাবিক্রিও খারাপ না। লেমিনেশন করতে খরছ হয় বেশি, না হলে একটু বেশি লাভ হতো।
চেয়ারম্যান পদে প্রতীক নিতে আসা ভোলাকোট ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি প্রতীক পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে শতাধীক চশমা প্রতীকের স্টীকার নিয়েছি। প্রতিটি স্টীকার ১৫টাকা করে পড়েছে।
একই ইউনিয়নের (৪-৫ ও৬ নম্বর ওয়ার্ডের) সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী আয়েশা আক্তার মিনু জানান, আমিও আমার প্রতীক হেলিকপ্টারের বেশ কিছু স্টীকার কিনেছি। ভালোই হলো, কম্পিউটার দোকানে গিয়ে এসব প্রিন্ট করতে জামেলায় পড়তে হয়। দাম একটু বেশিই নেয় এসব দোকানীরা।
করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক ছলিম উল্যাহ জানান, আমার কর্মী সমর্থকরাও আনারস প্রতীকের কিছু স্টীকার কিনেছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনের দোকানগুলো থেকে। আমার প্রতীক চুড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথে আমার কর্মী সমর্থকরা তা গলায় দিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি এত দ্রুত তারা আমার প্রতীকের স্টীকার গলায় দিয়ে স্বাগত জানানোয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, এতে আইনগত কোন বিধি নিষেধ আমার জানা নেই। দেখলাম প্রার্থী ও তার লোকজনও খুশি।