নিজস্ব প্রতিবেদক: রামগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর চরম ভরাডুবি হয়েছে।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ ইউনিয়নেই নৌকার মনোনিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যাবধানে হেরেছেন। অবিশ^াস্যভাবে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ত্যাগি নেতারা হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিকট।
সকাল ৮টা থেকে ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো নজিরবিহীন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোঁখে পড়ার মতো।
কয়েকটি ইউনিয়নে জাল ভোট, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভীতি প্রদর্শণ ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া অস্ত্রসহ কয়েকজন গ্রেফতার হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসায় বেশিরভাগ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান অনেকেই।
দিন শেষে প্রকাশ্যে দিবালোকে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব (২৬) কে হত্যার ঘটনায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সামনেই নৌকা প্রার্থীর সমর্থক সাজ্জাদ হোসেন সজিবের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত স্বতন্ত্রপদে আনারস প্রতীকে নির্বাচিত আমির হোসেন খাঁনের সমর্থক মোঃ মাসুদ আলম।
নির্দিষ্ট সময়ে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা করা হয় ১০টি ইউনিয়নের ভোট।
এতে বে-সরকারীভাবে ১ নম্বর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোঃ নাছির খাঁন, ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নে মোঃ সোহেল পাটোয়ারী নৌকা, ৩ নম্বর ভাদুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জাবেদ হোসেন, ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন খাঁন, ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমন, ৬ নম্বর লামচর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়েজ উল্যাহ জিসান, ৭ নম্বর দরবেশপুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান নৌকা, ৮ নম্বর করপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহীদ মীর্জা, ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র দেলোয়ার হোসেন দিলু ও ১০ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নে শেখ শামছুল আলম বুলবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।