নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব নিহতের ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নিহতের বোন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্যতম আসামী হিসাবে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমির হোসেন খাঁনের নাম রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় দলীয় গঠনতন্ত্রমতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
আমির হোসেন খাঁন ছাড়াও আরও ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নয়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ আক্তার ও বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন খাঁনের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় আমির হোসেনের সমর্থক মোঃ মাসুদ আলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিবের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মারাত্মক আহত হন সজিব হোসেন। ঢাকা নেওয়ার পথে চাঁদপুর নামক স্থানে মারা যান তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। গতকাল সোমবার হত্যাকান্ডের শিকার সাজ্জাদ হোসেন সজিবের লাশ নিয়ে আসা হয়। ঐদিন বাদ মাগরিব নয়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সজিব একই এলাকার নয়নপুর গ্রামের জহির উদ্দিন হাজী বাড়ীর মৃত মাওলানা আবদুস সাত্তারের ছেলে। বাবা আবদুস সাত্তার গত দুই মাস পূর্বে মৃত্যুবরন করেন। ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন সজিব ভাইদের মধ্যে ছোট। সে লক্ষ্মীপুর টুমচর মাদ্রাসার ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।