নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গা ও গর্তে সয়লাভ সড়ক সংস্কার কাজ নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের আঁধারে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত সকল মালামাল পুকুর ও ডোবানালায় ফেলে দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় লোকজন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২৮ ডিসেম্বর রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের খলিফার দরজা থেকে বরিয়াইশ বাজার পর্যন্ত সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ শুরু করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন ও সাবেক কর কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ।
ব্যক্তি উদ্যেগে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করার দুইদিন পর ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারে ব্যবহৃত ইট বালি সুরকি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সাবেক কর কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ।
তিনি জানান, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর পরিচয় দিয়ে জানানো হয় সরকারীভাবে সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। আপনি যে মালামাল সড়কে ফেলে গর্ত ভরাট করেছেন, তা আপনি উঠিয়ে নেন। উক্ত সড়কটি নাকি টেন্ডারও হয়েছে, যা আমরা সংস্কার কাজ শুরুর দিন পর্যন্ত বলতে পারবো না। এমন কি উদ্দেশ্যে রাতারাতি টেন্ডার হলো বোধগম্য নয়। তবে তিনি জানান, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সু-খবর। তারপরও সড়কটি হোক।
এসময় তিনি আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ফোন দেয়ার দিন রাতেই কে বা কারা রাতের অন্ধকারে আমাদের সংস্কারকৃত সড়কটি থেকে ইট বালু সুরকি পাশ^বর্তি পুকুর ও ডোবাতে ফেলে দেয়। স্বেচ্ছায় উপকার করতে এসেও রাজনীতির বলী হলাম।
এ ব্যপারে রামগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার কার্যালয়ের প্রকৌশলী জাহিদুল হক জানান, কে বা কারা ফোন দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদকে তা আমার জানা নেই। তবে লক্ষ্মীপুর থেকে কল দেয়া হতে পারে উনাকে (বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ)।
তবে তিনি উক্ত সড়ক সংস্কারে আরো ৬মাস আগে টেন্ডার হয়েছে জানিয়ে বলেন, আগামীকাল (রবিবার ২ জানুয়ারী) উক্ত সড়কের সংস্কার কাজ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর থেকে খলিফার দরজা থেকে বরিয়াইশ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এ সড়কটি ১ কোটি ১লক্ষ টাকায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এমপি সাহেব উদ্বোধন করার পরই কাজ শুরু হবে। কি কারনে ৬ মাস পুর্বে উক্ত সড়ক সংস্কারে টেন্ডার হলেও কাজ শুরু হয়নি বা স্থানীয় এলাকাবাসী অবগত নন, এ বিষয়ে তিনি কথা বলেননি।