নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার অপরাধে ওমর ফারুক (৪০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রিপন হোসেন, মনির হোসেন, মেশকার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজনকে আসামী করে রবিবার রাতে রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত ওমর ফারুক বর্তমানে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আথাকরা গ্রামের বটতলা নামক স্থানে।
হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওমর ফারুক জানান, গত কয়েকদিন আগে একই এলাকার আবুল খায়েরের নেশাখোর ছেলে রিপন হোসেনকে বাড়ীর সামনে মাদক বিক্রির সময় স্থানীয় লোকজনসহ বাধা প্রদান করি। এসময় সে আর মাদক বিক্রি করবে না বলে ছাড়া পায়। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে রিপন হোসেন ও তার লোকজন আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসে।
এরই সূত্র ধরে রবিবার এশার নামাজের সময় রিপন হোসেনের নেতৃত্বে ৬/৭জন সন্ত্রাসী লোহার রড ও কাঠ নিয়ে আথাকরা বটতলা নামক স্থানের হারুন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে পেটাতে থাকে। আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে আমি প্রানে রক্ষা পাই।
পরে আমার আত্মীয়স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত ১১টায় আমার স্ত্রীর ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে কয়েকজনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত রিপন হোসেন জানান, জমিতে পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে ওমর ফারুকের বোন জামাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা জানতে পারি ওমর ফারুক আমাকে গালাগাল করেছেন। রাতে হারুন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। হামলার সাথে আমরা জড়িত নই।
রামগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক ইভা সাহা জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। তিনি ওমর ফারুকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কথা নিশ্চিত করেন।