নিজস্ব প্রতিবেদক: তালাক দেয়ার প্রায় ৩ বছর পর অন্যত্রে বিয়ে হওয়ার পরও মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন নিউজপোর্টালে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে সমাজে কুৎসা রটানোয় সৌদি প্রবাসী আবদুর রহমান বাহার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আদালতে ক্ষতিপুরন মামলাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা ২০১৮ ইং আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানালেন, ভুক্তভোগী ঐ সৌদি প্রবাসী আবদুর রহমান বাহার।
রামগঞ্জ উপজেলার কামারহাঁট এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে সৌদি প্রবাসী আবদুর রহমান বাহার জানান, সম্প্রতি আমি লক্ষ করলাম একটি অনলাইন পত্রিকায় সৌদি আরব প্রতিনিধির বরাত দিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট একটি সংবাদ প্রচার করে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় আমি আবদুর রহমান বাহার আমার স্ত্রী ফাতেহা আক্তারকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্ররোচিত করে বিয়ে করি। তাহা আদৌ সত্য নয়। তুচ্ছ কারনে স্ত্রীকে মারধরসহ পরনারীতে আসক্ত থাকার কারনে ফাতেহা আক্তারের সাথে ছাড়াছাড়ি (ডিভোর্স) হয়ে যায় রামগঞ্জ পৌর আঙ্গারপাড়া বক্সীবাড়ীর মুনছুর আহম্মেদের ছেলে আহসান হাবিবের সাথে। যাহা আমি আমার স্ত্রী ফাতেহা আক্তারের কাছ থেকে পরবর্তিতে জানতে পারি।
আমার স্ত্রী ফাতেহা আক্তারের আগের স্বামী আহসান হাবিব নামে ওই ভন্ড প্রতারককে তালাক দেওয়ার তিনবছর পর পারিবারিকভাবে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। এতে আহসান হাবিব ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও স্ত্রীকে প্রানে হত্যাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে নাজেহালের চেষ্টা করে।
তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বহুবার বিচার, শালিস হলে আহসান হাবিব তার দোষ স্বীকার করে থানায় বসে মুছলেকা দিয়ে ভবিষ্যতে এমন করবে না বলেও অঙ্গীকার করে।
মুছলেকা দেয়ার কয়েকদিন পর আবারও আহসান হাবিব আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধমকিসহ আমাকে সামাজিকভাবে নাজেহাল করার হুমকি অব্যাহত রাখে। এরই জের ধরে সকালের খবর ২৪ ডট কম, সৌদি আরব প্রতিনিধিকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোধিত সংবাদটি প্রকাশ করে। যাহা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।