নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় জেলে ও নৌ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমীর হোসেন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এঘটনায় আরো ৪ পুলিশসহ ৫জন আহত হন। রবিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ১০ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আমীর হোসেন ভোলা সদরের কুতুবপুরা গ্রামের বাসিন্দা মতলব রাড়ির ছেলে।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাটকা সংরক্ষনে মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রবিবার রাতে নৌ পুলিশ নদীতে অভিযানে নামে। ভোর রাতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় পৌছালে ৫-৬ টি মাছ ধরার জেলে নৌকা তাদের ঘেরাও করে ফেলে। এসময় ৫০/৬০ জন জেলে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ইট-পাটকেল (জালের কাঠি) নিক্ষেপ করে পুলিশের উপর। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আমীর হোসেন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম, মহসীন, আনোয়ার, মোবারক ও পুলিশের স্পীড বোর্ডের চালকসহ ৫ জন। পরে আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতিতে গুলিবিদ্ধ জেলেকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর সকালে সে মারা যায় বলে জানায় পুলিশ।
এব্যাপারে নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়, এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়ে যায় এক জেলে, পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় সে। এঘটনায় পুলিশের স্ফডি বোর্ডের চালক ও ৪ পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় ১১জনকে আটক করা হয়। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।