নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও যুবদলের ৭ নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রায় ১৪ বছর পর তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
গত ১৪ এপ্রিল জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও যুগ্ন আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর করেন।
প্রত্যাহারকৃত নেতারা হলেন, রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ পাটোয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান মিরন, রামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস, ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লকিয়ত উল্যা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদ আহম্মেদ দাদু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বাশার সতু।
জেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে কম্পিউটারে টাইপকৃত প্রত্যাহারপত্রে জানা যায়, ২০০৮ ইং সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি উল্লেখিত ৭ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী জানান, দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে ৭নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া সুযোগ থাকা সত্বেও ঐ ৭নেতা অন্যকোন দলের পক্ষে কাজ করেনি। অন্য কোন দলে যোগদানও করেনি। তারা যে দলকে ভালোবাসা এটাই তার প্রমান।
এদিকে উপজেলা, পৌর বিএনপি ও যুবদলের উল্লেখিত ৭ নেতার প্রত্যাহারদেশ তুলে নেয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল বিএনপি নেতারা জানান, আমরা আরো আগেই জেলা বিএনপিসহ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনুরোধ করেছি সকল ভেদাভেদ ভুলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নিতে। উপজেলা বিএনপি’র কতিপয় নেতাদের কারণে তাদের দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়নি। আমরা চাই সবাই এককাতারে থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে ইনশাল্লাহ।