নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিএনজি অটোরিক্সায় করে বাবার সাথে বাড়ী ফিরছিলেন রামগঞ্জ উপজেলার আথাকরা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ আলমের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী মাহবুবা সুলতানা (২৬)।
ভালোভাবে পরীক্ষা দেয়া শেষ হলেও জীবন্ত ফিরতে পারলেন না দুই সন্তানের কাছে। পথিমধ্যে রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হাজীপুর শাহী জামে মসজিদের সামনে কাভার্ডভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় মাহাবুবা সুলতানা। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
একই ঘটনায় মারাত্মক আহত হন মাহাবুবা সুলতানার বাবা মাহবুব আলম ও সিএনজি অটো রিক্সা চালক। তাদের দুইজনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে মাহাবুবা সুলতানাদের নিয়ে খুব বেপরোয়া গতিতে আসা সিএনজি (লক্ষ্মীপুর থ: ১১-৬৬৮৬) চালক দক্ষিণ হাজীপুর মসজিদের সামনের মোড়ে এসে সড়কের ডানপাশে চলে যায়। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কোম্পানীর কাভার্ডভ্যান ( ঢাকা মেট্রো ন: ১৫-৪৫৬৫) এর সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিক্সার সামনের অংশ ধুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনাস্থলেই মাহাবুবা সুলতানার মৃত্যু হয়েছে। অপর আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাহাবুবা সুলতানার দেবর ইয়াসিন আরাফাত জানান, সকালে আমার ভাবী তার বাবার সাথে পরীক্ষা দিতে যায়। তারপর আমরা দূর্ঘটনার খবর জানতে পারি।
রামগঞ্জ থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের আত্মীয়দের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিএনজি চালকের বেপরোয়া গতি: প্রান গেলো দুই সন্তানের জননীর