নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার ওয়াহিদুর রহমানের বাড়িতে শুক্রবার দিনব্যাপী আলোর দিশারী সংগঠনের উদ্যোগে দেশীয় ফল আপ্যায়ন ফল পরিচয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাবেক কর কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুলতান মাহমুদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেশীয় ফল আপ্যায়ন ও পরিচয় উৎসব আজ শুক্রবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাক্তার ওয়াহিদুর রহমানের বাড়ী প্রাঙ্গণে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা, এবং বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই দেশীয় ফলের প্রদর্শণী ও শিশুদের দেশীয় ফলের সাথে পরিচয় করে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ।
এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষানুরাগীসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ বলেন, আলোর দিশারি একটি দায়িত্ব পরিপালনমূলক সংগঠন। বিদেশী ফলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশীয় ফলের কদর কমে যাচ্ছে। অথচ সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে আল্লাহপাকের দেয়া নেয়ামত হচ্ছে দেশীয় ফল।
সরকারের উচিৎ বছরের নির্দিষ্ট একটি দিন দেশীয় ফল আপ্যায়ন উৎসব করা। যাতে দেশের মানুষ জানতে পারে দেশীয় ফলে কী পরিমান পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। দেশীয় ফল এক একটি রোগের প্রতিষেদকের ন্যায় কাজ করে। কোনভাবেই দেশীয় ফলের গাছ কাটা যাবে না, এ লক্ষে একটি আইন করা উচিৎ। একটি ফলদ গাছ কাটার দরকার হলে কমপক্ষে ৩টি গাছ লাগাতে হবে। এ ধরনের উৎসবের মাধ্যমে আমরা এগুলোকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টাা করব ।
এসময় তিনি আয়োজিত উৎসবটি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেন। ফলের মধ্যে লটকন, বেতিন ফল, কাউফল, মন্ডল, কামরাঙ্গা, আনারস, তরমুজ, আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, তালের শাঁস, ডেউয়া, আমলকিসহ শতাধীক প্রকারের দেশীয় ফলের সমাগম করা হয়।