মোঃ সোহাগ কবিরাজ:
রামগঞ্জ করপাড়া ইউনিয়নে মোঃ মাসুদ নামের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পৈত্তিক সম্পত্তিতে ইমারত নির্মাণ, বসতঘরে হামলা, শারীরিকও মানসিকভাবে নির্যাতণের অভিযোগ উঠেছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাসুদ করপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে করপাড়া গ্রামের বড় বাড়ির মৃত আব্দুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে।
মাসুদ আলম ও তার স্ত্রী পান্না বেগম, মেয়ে মাসুমা বেগম জানান একই বাড়ির মৃত নুরুল হকের ছেলে রফিক উল্যাহ আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ইমারত নির্মাণের চেষ্টা করে।
এসম তাদের বাধা দিতে গেলে আমাদের বসতঘরে হামলা, পরিবারের সদস্যদের মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসার শেষ মুহুর্তে রফিক গংরা হট্টগোল সৃষ্টি করায় তা আর সমাধান হয়নি। এ ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় রামগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।
মাসুদ আলমের স্ত্রী শারিরিক প্রতিবন্ধী পান্না বেগম জানান, আমাদের স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করাই আমাদের মূল পেশা।
গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্তক্রমে আমার সম্পত্তি থেকে একটি গাছ কর্তন করেছি। প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্পত্তি পরিমাপ করে সবার সুবিধার্থে সালিসিদার যে সিদ্ধান্ত দেন পক্ষদ্বয় তাই মেনে নিবেন। আমাদের প্রতিপক্ষ রফিক উল্যাহ সালিসি বৈঠকে সমঝোতা না মেনে তিনি মোহাম্মদীয় পুলিশ তদন্ত কার্যালয় ও রামগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ করে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
অভিযুক্ত রফিক উল্যাহ বলেন গাছ কর্তন করতে মাসুদ আলমকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তার সীমানায় আমার ইমারত রির্মাণে চুল পরিমান যায়নি। আমি গ্রামের একতরফা শালিস মানতে রাজি নই।আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের মাঝে সমঝোতা করে শান্তিপূর্ণ বসবাসে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।