নিজস্ব প্রতিবেদক: রামগঞ্জ উপজেলার ৯নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের বড় ভূঁইয়া বাড়ীর সামনে থেকে ভোলাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশার কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মূল সড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত মাত্র কয়েকশ ফুট দৈর্ঘের এ সড়কটিতে হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীর জন্য।
স্থানীয় লোকজন জানান, অত্র এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারন ও বৃষ্টিতে সড়কটির দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে সড়কটির অধিকাংশই ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। সড়কটির বেশিরভাগ অংশে খানাখন্দে ভরা। ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবারের বসবাস। চলাচলের একমাত্র সড়কটির মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদায় তলিয়ে গিয়ে চলাচল কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক ভূঁইয়া জানান, দশঘরিয়া-পানিওয়ালা সংযোগ সড়ক থেকে সংশ্লিষ্ট সড়কটির ভোলাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কটির দৈর্ঘ মাত্র ৬শ ফুট। আমরা সড়কটির সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এলাকাবাসীর কষ্ট দেখার দেখার কেউ নেই।
আবদুল লতিফ ভূঁইয়া, বিল্লাল ভূঁইয়া, এস্কান্দর মির্জা ও হান্নান ভূঁইয়া জানান, দীর্ঘদিনেও সড়কটিতে কোন উন্নয়ন ও সংস্কারের ছোয়া না লাগায় যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন হয়ে পড়ে। ভোলাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সরকারি ডাকঘরে আসা লোকজন ও মসজিদে আগত মুসুল্লীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান দেড় যুগেরও অধিক সময় সড়কটিতে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে ভূইয়া বাড়ীর মানিক ভূইয়া ব্যক্তিগত অর্থায়নে কয়েকবার মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনে সরকারি বরাদ্ধ না পাওয়ায় স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, ভোলাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়কটিসহ বেশ কিছু সড়ক সংস্কারে বরাদ্ধের আবেদন করা হয়েছে। আশা করি শীগ্রই সমাধান হবে।