নিজস্ব প্রতিবেদক:
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার রামগঞ্জ প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চুর ২য় স্ত্রী আসমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। মৃত্যুর পূর্বে সাংবাদিক বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী আসমা আক্তার নিজের ফেসবুক আইডি (অংসধ অশঃবৎ) এ মৃত্যুর জন্য বেলায়েত হোসেন বাচ্চুকে দায়ী করে একটি স্ট্যাটাস দেন।
“ আজকে যদে আমি মারা য়াই এর সমপৃর্ন দোষ বেলায়ত হোসেন বাচ্চু। সে আমাকে প্রলবনে ফাসিয়েছে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু তুমি এপারেও শান্থি পাবে না ওপারেও শাষ্থ পাবেলা। আল্লাহ হাফেছ” । লেখাটি দেয়ার প্রায় ২ ঘন্টা পর পাশ^বর্তি বাসার ভাড়াটিয়ারা ভাড়া বাসার খোলা দরজা দিয়ে লাশটি ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় পৌর শহরের মৌলভী বাজার এলাকার আমির হোসেন ডিফজলের বাসার ৫তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চুর ছোট ভাই জাকির হোসেন জানান, তার ভাই বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মাত্র দেড় মাস থেকে এ বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। এ পরিবারে ৫ বছর বয়সী তুতুল নামের এক ভাতিজা রয়েছে। এসময় তিনি জানান, আমার মা বাড়ীতে অসুস্থ্য ভাই কখনো একটু খবর নেয়নি।
একই বাসার ভাড়াটিয়ারা জানান, গত মাস দেড়েক আগে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এ বাসায় বসবাস করে আসছেন। আসার পর থেকেই প্রতিদিন এ পরিবারে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। প্রায়ই মারধরসহ কান্নাকাটির আওয়াজ আসলে ভাড়াটিয়ারা ভবন মালিককে জানালে তিনি কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু দরবেশপুর ইউনিয়নের শোশালিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। সে ঘরে স্ত্রী নাজমা আক্তার ও তিন সন্তান রয়েছে। বছর দেড়েক আগে সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু খুলনার এক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হলে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি।
রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দে জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় আসমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।