নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাধারে সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। এলাকার মানুষের কাছে একজন উদার মনের মানুষ ও সফল ব্যক্তিত্ব হিসাবে ব্যপক পরিচিত।
ছোট বেলা থেকে ব্যবসায় মনোনিবেশ করে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উঠেছেন ধীরে ধীরে। সৎ ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন নিজের কার্যক্রমে। ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ভালোবাসার গণ্ডি ছাড়িয়ে ঢাকার বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসাবে রয়েছেন কয়েক যুগ।
নিজেকে আর্থিকভাবে সফলতার উচ্চাসনে আসীন করে এলাকার গরীব অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে কার্পণতা করেননি কখনো।
তিনি রামগঞ্জ পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড আউগানখীল গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব মোজাম্মেল হোসেন মজু। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের কারনে ব্যবসায়িকভাবে সফল একজন মানুষ তিনি।
এত কিছুর মাঝেও তিনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে নিবেদিত প্রান হিসাবে জড়িত রয়েছেন। দলের সভা-সমাবেশ, জাতীয় অনুষ্ঠানসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ এবং দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যার রয়েছে সরব উপস্থিতি।
রাজনীতিবিদ ও মানবিক গুনাবলির এ মানুষটি নিজ এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির সংস্কার ও প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন মানবিক সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধ্যমতো। করোনাকালীন সময়ে অক্সিজেন সেবা প্রদান ও করোনাকালীন সময়ে দুস্থ্য মানুষদের সেবা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করেছেন। যার ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
একজন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রামগঞ্জ উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তার শুভাকাঙ্খীগণ ও দলের একটি বৃহৎ অংশ মনে করেন দল তাকে নিরাশ করেছেন, তার প্রতি সুবিচার করা হয়নি। কারন দলের জন্য নিবেদিতপ্রান মোজাম্মেল হোসেন মজু রাজনীতি করে দলকে শক্তিশালী করেছেন। আর্থিক ও শারিরীকভাবে এবং সভা সমাবেশে সামনের কাতারে থেকে দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের জন্য নিবেদিত এ মানুষটি তারপরও দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে রাজি নন।
এ ব্যপারে সদ্য ঘোষিত রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন মজু বলেন, দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। দলকে আরো শক্তিশালী ও সু-সংগঠিত করতে হবে। এখন কোন বিভেদ নয়, একযোগে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ্য অবস্থায় নিজেদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে হবে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল মতপ্রার্থক্য ভুলে দলের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার পতনের আন্দোলনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে। তাহলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে।