নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা ও ভাংচুরে প- হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলার ৮ নম্বর করপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্ব ২০ দলীয় জোট নেতা ও কেন্দ্রীয় এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের বাড়িতে এ হামলা ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
হামলায় বিএনপি কর্মী আব্দুল কুদ্দুস, আবদুল কাদের, দুলাল হোসেন, আবু মিয়া ও আবদুর রাজ্জাকসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও ২০ দলীয় জোটের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, শনিবার দিনব্যাপী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভা চলমান অবস্থায় সরকার দলীয় অর্ধশত নেতাকর্মীরা মাস্ক ও হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। আতঙ্কিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও হামলাকারীরা ককর্টেল বিষ্ফোরন ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় তারা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে মারধর করেন। পরে হামলাকারীরা অর্ধশত চেয়ার ও প্যান্ডেল ভাংচুর করে।
উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বাহার ভিপি জানান, সরকার দলীয় জোটের নেতা কর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথ রূদ্ধ করতে চায়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, এ ধরনের হামলা বা ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামীলীগ জড়িত নয়। বিএনপির দলীয় কোন্দলের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পুলিশ কাউকে পায়নি, তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।